সম্প্রতি দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি পত্রিকায় “চুনারুঘাট রেজিস্ট্রি অফিসে জাল দলিলের মূল হোতা কামাল মহুরী শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন। আমার সামাজিক, পেশাগত ও ব্যক্তিগত সম্মান ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিক ভাইদের বিভ্রান্ত করে এমন সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।
প্রকৃত ঘটনা হলো— চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জাল দলিল সংক্রান্ত ঘটনায় শুক্কুর আলী ও তার সহযোগীদের সন্দেহজনক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি আমি নিজেই শনাক্ত করি। পরবর্তীতে সাব-রেজিস্ট্রার মোছা. খালেদা আক্তারের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করে চুনারুঘাট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অথচ উক্ত ঘটনার প্রশংসা পাওয়ার পরিবর্তে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সংবাদ প্রকাশ করা অত্যন্ত দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
আমি ২০০৫ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত দলিল লেখক হিসেবে চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সরকারি কোষাগারে নিয়মিত রাজস্ব জমা দিয়ে আসছি এবং পেশাগত জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে কখনো কোনো অভিযোগ ওঠেনি। আমি সবসময় সততা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা একটি মহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। যারা এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করছেন, তাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ— সত্যতা যাচাই ছাড়া বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।
ইতোমধ্যেই চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে আমার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করেছেন এবং প্রতারক চক্রকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পরিশেষে, আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই— আমার মানহানি ও সম্মান ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে কেউ মিথ্যা তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারণা চালালে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।
— কামাল উদ্দিন (কামাল মহুরী)
দলিল লেখক, চুনারুঘাট সাব-রেজিস্ট্রার অফিস
চুনারুঘাট,হবিগঞ্জ।