চুনারুঘাট প্রতিনিধি :চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ ইউনিয়নের নয়ানী বনগ্রাও গ্রামের ডাকাত ঈসহাকের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক বাড়ির রাস্তা দখল করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ঘটনায় ডাকাত ইসহাক ও তার দলবলের হামলায় একই পরিবারের চেরাগ আলী (৫৫) তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন( ৫০) ও মেয়ে সুমি আক্তার (৩২) কে গুরুতর আহত করেছে ঈসহাক ও তার দলবলরা।
শনিবার বিকেলে আহত দের কে চুনারুঘাট থানা পুলিশ উদ্ধার করে চুনারুঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
আহত সুমি আক্তার হাসপাতালে বেডে শুয়ে বাবা কে জরিয়ে কান্না কন্ঠে বলেন আমার পরিবারে কোন ভাই না তাকায় আমরা দুই বোন প্রবাসে কষ্ট করে বনগাও গ্রামে ১০শতক যায়গা রাস্তা সহ ক্রয় করি। এই ডাকাত ঈসহাক ও তার দলবলের অত্যাচারে বাড়িতে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের ভয়ে সব সময় আতঙ্কিত তাকি। আমাদের কে নিজের বাড়ি থেকে বের করার জন্য সব রকম চেষ্টা করেছে সে।
বিগত দুই বছর ধরে বিভিন্ন কৌশলে আমাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা করেছে। নিরুপায় হয়ে আমরা বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে মামলা করলে ও সে প্রভাব কাটিয়ে আমাদের অত্যাচার নির্যাতন বাড়িয়ে দেয়। সুমি আর ও জানায়, তার বিরুদ্ধে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।তার বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতি, গাঁজা সহ কয়েক ডজন মামলা।
সুমি আর ও জানায়,আমার বাবা গতকাল শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় ডাকাত ঈসহাক ও তার দলবলরাম দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পরলে আমি ও আমার মা, বাবা কে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে আমাদের কে ও কুপিয়ে আহত করে তারা।
এ সময় আসপাশের লোকজনের সহযোগিতা চাইলে ও কেউ তাদের ভয়ে আমাদের কে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে নি।
বরং আমাদের কে আহত করে বাড়ির রাস্তা জোর পৃর্বক বন্ধ করে দেয় তারা।
আহত আয়েশা জানান,ডাকাত ইসহাক এত প্রভাব শালী যে তার বিরুদ্ধে ৪০/৫০টা মামলা তাকলে প্রকাশ্য ঘুরে বেরাচ্ছে।
স্হায়ীয়রা জানান,ইসহাক এলাকায় এক নামেই ডাকাত ঈসহাক হিসাবে পরিচিত। তার বিপক্ষে কে স্বাক্ষী দিবে কে কথা বলবে। সে শুধু তাদের কে নয়
এলাকায় অনেক মানুষ কে নির্যাতন করেছে।
চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান,এ ঘটনার খবর পেয়ে আহতদের পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্হা নেওয়া হবে।