চুনারুঘাট প্রতিনিধি:দীর্ঘ এক পথ পরিক্রমায় চুনারুঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে অধ্যয়ন করেছিলেন শাম্মী আক্তার। লক্ষ্য ছিল রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা হওয়া— প্রশাসন ক্যাডারে যোগ দিয়ে ডিসি কিংবা সচিব হিসেবে দেশের সেবা করা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় তিনি বেছে নেন অন্য এক পথ— সংগ্রাম, আদর্শ ও ত্যাগের পথ।
বেগম খালেদা জিয়াকে মায়ের মতো ভালোবেসে এবং শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে শাম্মী আক্তার নিজের ক্যারিয়ার, এমনকি জীবনও বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েন জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি আজ “রাজপথের অগ্নিকন্যা”, আর সারা দেশের তরুণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি এক অনুপ্রেরণার নাম।
শাম্মী আক্তার মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার গর্বিত সন্তান। দেশপ্রেম, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পক্ষে তার অবস্থান বরাবরই ছিল অনড় ও স্পষ্ট।
২০০৮ সালে মাত্র তেত্রিশ বছর বয়সে তিনি বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেই সময় সংসদে তিনি খুনি হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠে মুখ খুলে আলোচনায় আসেন। তার সাহসী বক্তব্য ও দেশপ্রেমিক অবস্থান বিএনপির রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা এনে দেয়।
রাজনীতির কঠিন সময়গুলোতে যখন অনেকেই বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন, কেউ কেউ আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে আঁতাত করে নিজের স্বার্থ রক্ষা করছিলেন, তখনও শাম্মী আক্তার ছিলেন রাজপথে— খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অটল।
আজ আবারও হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শাম্মী আক্তারের নাম আলোচনায়। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, তিনি মনোনয়ন পেলে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবেন।
ইনশাআল্লাহ, দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বের প্রতীক শাম্মী আক্তার একদিন চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন— এমনটাই বিশ্বাস স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের।