
চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।।হবিগঞ্জ -৪ (চুনারুঘাট- মাধবপুর) আসনে এনসিপির মনোনয়ন পেয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা, মোদী বিরোধী আন্দোলনে কারা নির্যাতিত ছাত্রনেতা নাহিদ উদ্দিন তারেক। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন আনুষ্ঠানিক ভাবে নাহিদ উদ্দিন তারেকের নাম ঘোষণা করেন।
জানা যায়, নাহিদ উদ্দিন তারেক ১৯৯৯ খ্রি. চুনারুঘাট উপজেলার আহমাদাবাদ ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম দুলাল ভূইয়া ও মাতা রাহেনা আক্তার। নাহিদ উদ্দিন তারেকের পিতা টানা ৫ বার নির্বাচিত ইউপি সদস্য। নাহিদ উদ্দিন তারেক ২০১৫ সালে চুনারুঘাটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণা চরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০১৭ সালে সিলেট কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০২১ সনে ঢাকা কলেজ থেকে স্নাতক সম্মান কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। বর্তমানে ২০২২-২৩ সেশনে স্নাতকোত্তরে অধ্যায়নরত।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার নাহিদ উদ্দিন তারেক ২০১৮ সাল থেকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে ঢাকার রাজপথে সম্মুখকারী থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মোদী বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ফলে দীর্ঘ ৬ মাস কারাভোগ করেন।
নাহিদ উদ্দিন তারেক জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হবিগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান সমন্বয়কারী, এনসিপির বিভাগীয় সংগঠক (সিলেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে, আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় নাহিদ উদ্দিন তারেক ছাত্র জিবনে ঢাকা কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং সর্বশেষ সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে ছাত্র অধিকার পরিষদ এর রাজনীতেতে যুক্ত ছিলেন।
তিনি হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য এবং জেলা রেড ক্রিসেন্টের সদস্য সহ একাধিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া তিনি গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে ইতিমধ্যে চুনারুঘাট-মাধবপুর এর উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন। ইতিমধ্যে চুনারুঘাট হাস্পাতালের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ, পুরাতন ভবন সংস্কার, হাসপাতালে ডাক্তার সংকট, অপারেট অপারেশন থিয়েটার চালুকরণ সহ হাস্পাতালের সমস্যা নিরসনে কাজ করছেন। তিনি চুনারুঘাট উপজেলা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১১টি পাকা রাস্তার বরাদ্দ নিয়ে এসেছেন। এছাড়া চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলার উন্নয়নের জন্য আরও ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দের চেষ্টা করছেন।