নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীতে ঘটেছে হৃদয়বিদারক এক হত্যাকাণ্ড—ত্রিভুজ প্রেমের বলি হয়েছেন তরুণ জোবায়েদ। প্রেমিকা বর্ষা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেমিক মাহিরের দ্বন্দ্বে শেষ হয়ে যায় তার তরুণ জীবন।
পুলিশ জানায়, বর্ষা নামের এক ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে দুইজন—জোবায়েদ ও মাহির—এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখছিলেন। প্রেমের জটিলতা ও প্রতারণার জালে শেষ পর্যন্ত নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয় জোবায়েদকে।
ঘটনার দিন মাহির ও তার বন্ধু আয়লানসহ তিনজন মিলে পরিকল্পিতভাবে জোবায়েদকে হত্যার ফাঁদে ফেলে।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মাহির বর্ষাকে ফিরে পেতে জোবায়েদকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব পান। বর্ষা নাকি মাহিরকে বলেন,
> “জোবায়েদ না সরালে আমি তোমার কাছে ফিরতে পারবো না।”
এরপরই শুরু হয় হত্যার পরিকল্পনা।
ঘটনার দিন জোবায়েদ ও মাহিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জোবায়েদ স্পষ্টভাবে জানায়,
> “আমি সরে আসবো কেন?”
এই তর্কের পরেই ঘটে হত্যাকাণ্ড।
নির্মমতার চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় হত্যার সময়। তিনতলা ভবনের নিচে আহত অবস্থায় পড়ে থাকা জোবায়েদ বাঁচার জন্য উপরে ওঠেন। তখন তিনতলায় দাঁড়িয়ে ছিলেন বর্ষা। জোবায়েদ আকুল অনুরোধ করেন—
> “আমাকে বাঁচাও।”
কিন্তু বর্ষার ঠান্ডা জবাব—
> “তুমি না ম’রলে আমি মাহিরের হবো না।”
এরপর দরজায় কড়া নেড়েও কোনো সাড়া পাননি জোবায়েদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভে যায় তার জীবনপ্রদীপ।
ডিএমপি’র ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, “এটি একটি পরিকল্পিত ত্রিভুজ প্রেমের হত্যাকাণ্ড। বর্ষার প্ররোচনায় মাহির ও তার সহযোগীরা জোবায়েদকে হত্যা করে।”
পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে আটক করেছে এবং বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।